শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণখান থানা এলাকায় ছুরিকাঘাত করে মেহেদী (১৭) হত্যা করা মামলার প্রধান আসামী সাইফসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ সাইফ, মনির, আরাফাত, সাইফুল, মেহেরাব, আপেল, সিফাত ও সোহেল। গ্রেফতারের সময় প্রধান আসামী সাইফের নিকট হতে ১টি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। ডিবি উত্তরের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর দক্ষিনখান ও উত্তরা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে।
আজ ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখ বেলা সাড়ে ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোঃ মাসুদুর রহমান পিপিএম।
ঈদ-উল ফিতর ২০১৮ এর ১০/১৫ দিন পূর্বে আরাফাত গ্রুপের সদস্য কাউসার ওরফে কডা শান্ত গ্রুপের হুন্ডা মেহেদীকে তুই বলে সম্বোধন করে। উক্ত ঘটনার রেশ ধরে শান্ত গ্রুপের হুন্ডা মেহেদী ও ভিকিটিম মেহেদী আরাফাত গ্রুপের কাউসার ওরফে কডাকে মারধর করে। ১৮/০৮/১৮ তারিখ ভিকিটিম মেহেদীসহ শান্ত গ্রুপের সদস্যরা আরাফাত গ্রুপের সাইফকে মারধর করে। ৩১/০৮/১৮ তারিখ শান্ত গ্রুপের ভিকটিম মেহেদী এবং নাজমুল ফজল হাজীর ছেলে আরাফাত গ্রুপের তৌকির এর বাম হাতের কব্জিতে ও বুকের বাম পাশে সুইচ গিয়ার ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এই ঘটনার পর থেকে আরাফাত গ্রুপের সদস্যরা মেহেদী ও নাজমুলকে মারার জন্য খুঁজতে থাকে। উক্ত তারিখ বিকাল বেলায় কেসি কনভেনশন হলে একটি জনসভায় শান্ত গ্রুপের লোকজন মিছিল নিয়ে আসার সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আরাফাত গ্রুপের সদস্যরা মিছিলের উপর আক্রমন করে। আরাফাত গ্রুপের সানি ও সোহেল মেহেদীকে জড়িয়ে ধরে এবং সাইফ চাকু দিয়ে মেহেদীর বাম কানের নিচে স্টেপ করে এবং অন্যান্যরা লাঠি দিয়ে মারধর করে। আহত অবস্থায় ভিকটিম মেহেদীকে প্রথমে কেসি হাসপাতালে পরবর্তী সময়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরন করে।গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দক্ষিণখান থানাধীন চেয়ারম্যানবাড়ী ইউপি’র নগরিয়া বাড়ী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্ব এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে শান্ত ও আরাফাত গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই হাতাহাতি ও মারামারি হয়। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদী হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। দক্ষিনখান থানাধীন চেয়ারম্যানবাড়ী এলাকায় উঠতি বয়সী ছেলেদের বিভিন্ন গ্রুপ (জিম-জিয়াদ গ্রুপ, শান্ত গ্রুপ, আরাফাত গ্রুপ, কামাল গ্রুপ ও আনছার গ্রুপ) সক্রিয় রয়েছে। এই গ্রুপ গুলো উক্ত এলাকায় চাঁদাবাজি, ইভ টিজিং, ছিনতাই, হত্যাকান্ডসহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে।
এ সংক্রান্তে ডিএমপি’র দক্ষিণখান থানায় মামলা রুজু হয়েছে।