বুধবার, ২৯ Jun ২০২২, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
মল্লিক মোঃ জামাল বরগুনা প্রতিনিধি॥
বরগুনার তালতলী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠান বর্জন করে আলাদা আলাদা শোক দিবস পালন করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগ। সবার একই অভিযোগ যে জাতীয় শোক দিবসে তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই তারা আলাদা এই জাতিয় শোক দিবস পালন করেন। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও তালতলী উপজলো প্রশাসন জাতীয় শোক দিবস এক সাথে না করে ভিন্ন ভিন্ন করার ক্ষোভ প্রকাশ কওে সচেতন মহলের অনেকেই। এনিয়ে উপজেলার সর্ব মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয় পাল্টা অভিযোগও রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম আলী হাওলাদার জানান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদেরকে দাওয়াত দেয়নি। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় উপস্থিত হয়েও অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারিনি।
উপজেলা পরিষদের প্যানেল-১ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান হাওলাদার জানান, শোক দিবস অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় ছিলাম। তবুও রেজুলিউশনে ইউএনও আমার নাম রাখেনি এবং দাওয়াত দেয়নি। কিভাবে সে অনুষ্ঠানে থাকবো।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজবী-উল-কবির জোমাদ্দার জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে কোন সমন্বয় করেনি এবং প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোন দাওয়াত পাইনি।
এ বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান বলেন, তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুকে অপসারন হওয়ার পর প্যানেল-১ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান হাওলাদারকে নিয়ে শোক দিবসের প্রস্তুতি সভাসহ উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। শোক দিবস অনুষ্ঠানের পূর্ব মুহুর্তেও তাকে ফোন দিয়ে ছিলাম কিন্তু সে আসেনি এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকেও কোথাও খুজে পাইনি। এ ছাড়াও শোক দিবসের প্রস্তুতি সভার রেজুলিউশনের কপি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা অফিসে পাঠানো হয়েছে।