রবিবার, ২৬ Jun ২০২২, ০৮:২২ অপরাহ্ন
সেনা সূত্রে খবর, ডেমচকের কাছে শেরডং-নেরলং নাল্লান এলাকায় সপ্তাহ দুয়েক আগে অনুপ্রবেশ করে চিনা সেনা। স্থানীয় পোশাক পরে ছাগল চরাতে চরাতে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়েন চিনা সেনারা। তার পরে সেখানে পাঁচটি তাঁবু খাটিয়ে ফেলেন তাঁরা। খবর পেয়ে ওই এলাকায় চিনা সেনার মুখোমুখি দাঁড়ায় ভারতীয় সেনাও।নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না এসেই ভারত ডোকলামে চিনের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়েছে বলে সম্প্রতি সংসদে দাবি করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিন্তু এ বার লাদাখে ফের মুখোমুখি দাঁড়াল দু’দেশের সেনা। এই ঘটনায় নরেন্দ্র মোদীর চিন নীতি ফের প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।
লে এলাকার প্রশাসনিক কর্তা অবনী লাভাসা জানিয়েছেন, বসন্ত ও শরৎ শেরডং-নেরলং এলাকায় পশুচারণের মরসুম। কিন্তু গোলমালের আশঙ্কায় ভারতীয় পশুপালকদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে এনেছে সেনা। তাঁরা আপাতত ওই এলাকা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উলং-এ তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন। কিন্তু পশুচারণ না করতে পারলে তাঁরা বিপাকে পড়বেন বলে দাবি পশুপালকদের। তাই ওই এলাকায় ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
সরকারি সূত্রের দাবি, উহানে মোদীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের বৈঠকের পরে চিনা সেনার আগ্রাসী মনোভাব কমেছে। তবে ডেমচক-সহ পূর্ব লাদাখে গত কয়েক মাস যাবৎ সক্রিয়তা বাড়িয়েছে তারা। জুলাই মাসেও পূর্ব লাদাখে অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় পশুপালকদের তাঁবু ছিঁড়ে দিয়েছিল চিনা সেনা। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের ওই এলাকা সফরে যান তিব্বতি ধর্মগুরু ও নির্বাসিত সরকারের প্রধান দলাই লামা। তার ফলেই চিন ওই এলাকায় ফের আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে কি না সেই প্রশ্নও ভাবাচ্ছে মোদী সরকারের কর্তাদের।
ভারতীয় যাযাবর জনজাতির পশুপালকদের বিক্ষোভ নিয়েও চিন্তিত প্রশাসন। সেনা ও প্রশাসনের কর্তারা মেনে নিচ্ছেন, চিনা আগ্রাসনের পাশাপাশি ভারত সরকারের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ওই পশুপালকেরা। তাঁদের দাবি, ওই এলাকায় পশুপালকদের সুরক্ষার জন্য সঠিক পদক্ষেপ করে
না সরকার।