মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ সুদেব কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদে রবিবার সকালে শ্রেণি কক্ষ ও অফিস রুমে তালা মেরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা ।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ বর্তমান কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করে । । পরে সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্কুল প্রাঙ্গণের একটি দাগের জমির মালিক বিশ্বাস কার্তিক চন্দ্রের নিকট থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকায় ক্রয় করে। তিন কিস্তিতে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা তাকে প্রদান করা হয়। বাকি ১ লাখ টাকার জন্য জমির মালিক কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস বারবার তাগিদ দিত থাকে। একপর্যায়ে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাবেক কমিটি জমির দলিল পর্যালোচনা করা বাকি টাকাটি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন ।
কিন্তু বর্তমান নতুন কমিট দায়িত্ব গ্রহনের পর সাবেক কমিটির সিদ্ধান্ত বাতিল করে নতুন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবক জমির মালিককে বাকি ১ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং সভাপতি সুদেব কুমার বিশ্বাস ১ লাখ টাকার চেকে সাক্ষর করেন । প্রধান শিক্ষক সাক্ষর করলেই জমির মালিককে টাকাটা প্রদান করা হবে। এমন সংবাদ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি জয়ন্ত বিশ্বাস থাকাকালিন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কার্তিক চন্দ্রের জমির কাগজপত্র দেখে বাকি ১ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ জমির টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জয়ন্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি সভাপতি থাকাকালিন সময়ে এ জমি বিদ্যালয়ের নামে কেনা হয়।
তিন শতাংশ জমি কার্তিক বাবুর না হওয়ায় তখন ওই জমির টাকা দেওয়া হয়নি। জমি যদি তারই হবে তাহলে দলিল দেখাতে কি সমস্যা? আর কি করে বর্তমান কমিটি পুরনো কমিটির সিদ্ধান্ত অমান্য করে?
এ বিষয়ে পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সুদেব কুমার বিশ্বাস বলেন, পরবর্তী সভায় আলোচনা করে সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
