মাগুরায় ধনী বক্কারের লাশ কবর থেকে উত্তোলন মা  মামা সহ ৫ জনকে আসামি করে ছেলের হত্যা মামলা 

মাগুরার  মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়রিয়া গ্রামে আবু বক্কার এর লাশ মৃত্যুর একমাস ৬ দিন পর ৯ নভেম্বর  বুধবার সকালে ধোয়াইল কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেট মহম্মদপুরের সহকারি কমিশনার ভূমি বাসুদেব কুমার মালো এর উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। গত ২ অক্টোবর রাতে আবু বক্কারের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ৯ দিন পর ছেলে বাদী হয়ে  তার মা মামাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে  মামলা দায়ের করে। মামলায় আরো ৪ থেকে ৫ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

চাঞ্চল্যকর এ  মামলাটি করেন মাগুরার মহম্মদপুরের বড়রিয়া গ্রামের হতভাগ্য আবু বক্কার শেখের ছেলে সিজান মাহমুদ সাগর। পিতা মারা যাওয়ার ৯ দিন পর   ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার মাগুরা আদালতে মামলাটি রুজু করেন। আদালতের  বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মু. হাবীবুর রহমান দরখাস্তটিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য মহম্মদপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। 

মামলার আরজি মতে, গত ২ অক্টোবর ভোরে মারা যান আবু বুক্কার শেখ। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর সৌদিতে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী স্থানীয় জনৈক রকিবুল ইসলাম হিরকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২ অক্টোবর ভোররাতে আবু বক্কারকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়   এবং  আসামিরা তড়িঘড়ি করে বক্কার শেখের লাশ দাফন করে দেয় বলে জানান,মামলার বাদি।

মামলায় বাদীর মায়ের কথিত প্রেমিক রকিবুল ইসলাম হিরককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া  তার মা সীমা পারভীন, মোঃ রফিকুল ইসলাম,  জাহানারা বেগম ও  আপন মামা মাছুদুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় বলেন, আদালত নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। সে মোতাবেক ৯ নভেম্বর সকালে  লাশ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা মর্গে পাঠান হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।