বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ

জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশি, ব্রংকিওলাইটিসসহ ঋতু পরিবর্তনজনিত নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে হাসপাতালে। আগারগাঁও শিশু হাসপাতালের ৬৭০ শয্যার সবগুলোই পূর্ণ থাকায় ভর্তি হতে পারছে না নতুন রোগী। বহির্বিভাগেও প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে ১ হাজারের বেশি রোগী। ঋতু পরিবর্তনের সময় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

শনিবার দুপুর ১টায় বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগের গিয়ে দেখা যায়, কেউ আসছেন ৬ মাসের শিশুকে নিয়ে, কেউ এসেছেন নবজাতক নিয়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এসব রোগীর বেশিরভাগই ভুগছে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে।

দেশের সবচেয়ে বড় এই শিশু হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলছে, ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা জ্বর ছাড়াও এবছর বেশি রোগী আসছে ব্রংকিওলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে। ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ার সাথে ঋতু পরিবর্তনজনিত এসব রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক রেসপাইরেটরী মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ‘এখনও আমাদের হাসপাতালে প্রায় ৫০ জন ডেঙ্গু রোগী আছে। পাশাপাশি ব্রংকিওলাইটিসের প্রকোপ বাড়ছে। এই দুইটা মিলিয়ে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে।

ব্রংকিওলাইটিস হলে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। ব্যাঘাত ঘটে স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়ায়। এসব উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ডা. প্রবীর কুমার সরকার আরও বলেন, ‘সিবিআর একিউর ব্রংকিওলাইটিসও হতে পারে। কোনো বাচ্চা খুব দ্রুত শ্বাস নিচ্ছে। সে খেতে পারছে না এবং খুব কান্নাকাটি করছে।

কোনোভাবে কান্না থামানো যাচ্ছে না। এরকমটা হলে আমরা ধরে নিই যে ব্রংকিওলাইটিসের কারণে তার শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

দেশের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বয়সই ১৮ বছরের কম। মাত্র একটি হাসপাতালে তাদের সবাইকে চিকিৎসা দেয়া প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।