জলবায়ু সম্মেলনে এবারও ক্ষতিপূরণের টাকা প্রাপ্তিতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতির কথা বলা হলেও তা মানছে না সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ-যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, ব্রাজিল ও রাশিয়াসহ অনেক দেশ। এ অবস্থায় বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বাংলাদেশসহ ৫০ দেশ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত বিশ্ব। এর মধ্যেই মিশরের শার্ম আল শেখ নগরীতে শুরু হয়েছে ২৭ তম জলবায়ু সম্মেলন। বাংলাদেশসহ প্রায় ২০০টি দেশ যোগ দিয়েছে এ সম্মেলনে।
গেল বছর গ্লাসগোতে কপ ২৬ সম্মেলনে, প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল ২০৩০ সালের মধ্যে বন্ধ করা হবে বন উজাড়। উষ্ণতা বৃদ্ধির সীমা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখা হবে।
বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে ১০টি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা বাতিল করে সৌর শক্তির দিকে ঝুঁকছে। তবে এবার জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণকারী দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে কাছ থেকে কার্বন নিয়ন্ত্রণে আসেনি কোনও সুস্পষ্ট বক্তব্য।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ২০২৫ সাল পর্যন্ত উন্নত দেশগুলো প্যারিস চুক্তির আওতায় প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা। এবারের সম্মেলনে তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হবে।
১৩ দিনের কপ-২৭ সম্মেলন শেষ হবে ১৮ নভেম্বর। তবে এবার যাচ্ছেন না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।