আশ্রায়ন প্রকল্পের  বাড়ী খাস জমি দেওয়ার নামে টাকা আদায় 

রাজশাহী তানোর প্রেসক্লাবের ক্যাশিয়ার থানা মোড়ের অটো মাস্টার সাংবাদিক সোহেলের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীরর উপহারের বাড়িসহ খাস জমি বন্ধোবস্ত দেওয়ার নামে অসহায় ভূমিহীনদের ভূয়া কাগজ দিয়ে লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ভূমিহীন তোতা দিং বাদি হয়ে সোহেলকে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও নোটিশ দিয়েছেন।যার শুনানি আগামী ১৩ ডিসেম্বর নির্বাহীর দপ্তরে হবে। উপজেলার বাধাইড় ইউপির সাইধাড়া বরা পুকুর পাড়ায় ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এখবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে নামধারী চাঁদাবাজ সাংবাদিক ও সহায়তাকারীদের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের দিকে উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়ন(ইউপির) সাইধাড়া বরা পুকুর পাড়ায় খাস জমিতে বসবাস করেন তোতা,নাসির, জাহাঙ্গীর ও ফারুক এবং কবিরুল। এই পাচজনকে সরকারী বাড়ীসহ জমি বন্ধোবস্ত দেওয়ার নাম করে অটো মাস্টার সাংবাদিক সোহেল কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি সম্প্রতি মন্ত্রনালয়ের নিল কালারের কাগজ দিয়ে পুনরায় টাকা আদায় করেন। 

ভুক্তভোগী তোতা জানান, প্রায় আড়াই তিন মাস আগে শিবরামপুর গ্রামের আক্কাসের মাধ্যমে সাংবাদিক সোহেল মুন্ডুমালা হাটের দিন ডেকে বাড়ি ও জমি বন্ধোবস্ত দিবে মর্মে আমাদের পাচজনের নামে আবেদন জমা দেয় । এরপর থেকে দফায় দফায় ১ লাখ টাকা নিয়েছেন। চলতি মাসে সোহেল মোবাইল করে আমনুরা ডাকে। সেখানে গেলে নিল কালারের কাগজ দিয়ে বলে মন্ত্রনালয় থেকে আপনাদের নামে জায়গা বাড়ি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তিন মাস কাগজ গোপন রাখতে হবে। একথায় সন্দেহ হলে কাগজ নিয়ে ভূমি অফিসে গিয়ে জানতে পারি সবই জালিয়াতি। আমরা সোহেলের বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইলে সে বলে এক দু সপ্তাহ দেরি হবে। প্রমান হিসেবে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে টাকা ধার নেওয়া হয়েছে বলে লিখাপড়া করা হয়। সময় অনুযায়ী টাকা চাইলে নানা তালবাহানা শুরু করে, মোবাইলও ধরে না। আমরা অসহায় ধার দেনা করে টাকা দিয়েছিলাম। পরে এনজিও থেকে ঋন নিয়ে টাকা পরিশোধ করেছি। এখন প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হচ্ছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই ইউএনও স্যারের নিকট অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, যার শুনানি আগামী ১৩ ডিসেম্বর তারিখে দিন ধার্য রয়েছে।

বেশকিছু সিনিয়র সাংবাদিক রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যার কোন একাডেমিক যোগ্যতা নাই। অন্যের সার্টিফিকেট দিয়ে সাংবাদিকতা করছে। সে অটো মাস্টার ১০/১৫ টাকা করে চাদা তোলা কাজ। কিন্তু এখন হয়েছে বড় চাঁদাবাজ। হওয়াটাই স্বাভাবিক। আবার থানার নাকি নানা কাজ করে থাকে। ভয়েস রেকর্ড ছাড়া লিখতে পারেনা। কিন্তু বড় সাংবাদিক। এদের জন্যই আজ প্রকৃত সাংবাদিক রা হেয় হচ্ছেন। অবশ্যই এসব চাঁদাবাজ দের চরম সাজা হওয়া দরকার।

অভিযুক্ত সাংবাদিক সোহেল জানান, আমি তাদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছি। কিন্তু একটি মহল এঘটনাকে ইস্যু বানিয়ে আমাকে হেনেস্তা করতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে নোটিশ করা হয়েছে। শুনানিতে প্রমান হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।