শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন , গত সপ্তায় সৌদি আরবের তেল ক্ষেত্রে ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে ইরান ঐ আক্রমণ চালিয়েছিল।
এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন তিনি অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিনকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত বর্তমান নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়। তবে তিনি নতুন এই শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
ট্রাম্পের এই নির্দেশটি এমন এক সময় আসল যখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও সৌদি আরবের তেল ক্ষেত্রে আক্রমণের বিষয়ে সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য জেদ্দায় যাচ্ছেন। ঐ আক্রমণে সৌদি তেল উৎপাদনের অর্ধেকই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যা সাময়িক ভাবে বিশ্বের তেল সরবরাহ ৬ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে যে তাদের সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে একটি কুটনৈতিক নোট পাঠিয়েছে যেখানে তারা সৌদি তেল ক্ষেত্রে আক্রমণের ব্যাপারে তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে যে ইরানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলে ইরান তাৎক্ষণিক ভাবেই পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা এর দায় স্বীকার করেছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন প্রাপ্ত প্রমাণে দেখা যাচ্ছে সেটা সম্ভব নয় ।
ও দিকে ইরানের প্রোসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন যে সৌদি আরব যে জোট বেঁধে হুথিদের বিরুদ্ধে লড়ছে তারই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এই আক্রমণ ছিল সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে হুঁশিয়ারি বার্তা। মানবাধিকার গোষ্ঠিগুলো ইয়েমেনের উপর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বিমান আক্রমণের নিন্দে করে আসছে যে কারণে সেখানে বিশ্বের সব চাইতে সমারাত্মক মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।