শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
ডেঙ্গু আতঙ্ক আরো বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই নেই। স্কুল-কলেজে উপস্থিতি কমেছে। ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছেড়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। আগে ঢাকায় সীমাবদ্ধ ছিল, এখন দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবর পর্যন্ত এর প্রকোপ চলবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮৩ জন। গত এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি ২০৩ জন ভর্তি হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে নির্ধারিত শয্যার বাইরেও মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেকে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে যাচ্ছেন রোগী নিয়ে।
রাজধানীর বাইরে ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রামে ২৭ এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সিট খালি না থাকায় বহু রোগীকে ওয়ার্ডের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র ফিরোজ কবীর স্বাধীনের মৃত্যু নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ২২ ঘণ্টা লড়াই করার পর স্বাধীন বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। হাসপাতালের বিল পরিশোধে জমি বিক্রি করতে স্বাধীনের বাবা ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও যাচ্ছিলেন। মাঝ পথে গিয়ে শুনেন ছেলে মারা গেছে। স্বাধীনের রুমমেট সুমন রহমান তাই জানালেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ছাত্রী উখিংনু রাখাইন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার বিকেলে মারা গেছেন।
ওদিকে বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ করে ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমাবন্দরেও এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা কড়া নজরদারির মধ্যে রেখেছে। বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ মেহবুব খান জানিয়েছেন, মশা নিধনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, এ বিমানবন্দর দিয়ে বছরে ৫০ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেন।