শুক্রবার, ০৫ মার্চ ২০২১, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
এইচ.আর.হিরু, সাদুল্লাপুর প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার গ্রামীণ জনপথের ব্যবসায় দীর্ঘদিন থেকেই যাচ্ছে চরম দুরোবস্থা। ইতোমধ্য বন্ধ হয়ে গেছে অনেক
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ ছোট বড় কারখানাম, প্লট্রি ও ডেইরি ফার্ম। মাথায় হাত দিয়ে চোঁখে দেখছেন সরষে ফুল। হারিয়ে ফেলেছেন বর্তমান ও ভবিষৎ জীবন জীবিকার সকল স্বপ্ন। চোঁখের পানি নোনা হয়ে ঝরিয়ে পড়ছে মুখে। এ যেনো আর এক উপহাস। গাইবান্ধা জেলার মানুষের বিশেষ করেই আয়ের একমাত্র অন্তরায় কৃষি ও কৃষি ফসল। কিন্তু বিগত প্রায় ১৫ বছর থেকে এলাকায় আবহাওয়া ও প্রকৃতিও যেন বিদ্রুপ করে পরিবর্তন ঘটিয়েছেন নিজের সাভাবিকতার। অবিরামভাবে চলছে অনা বৃষ্টি, অসময়ে অতি বৃষ্টি, দীর্ঘখরা, ঝড় হাওয়া, শিলাবৃষ্টি, এসিড ও নোনা বৃষ্টি। কমে গেছে শীতের স্থায়িত্ব ও ঘনত্ব। বাড়ছে অতিরিক্ত গরম। সঙ্গে বিদ্যুৎ মহাসায় সুযোগ নিয়ে করছে নিদারুন ভেলকিবাজি। আছে অসমেয়ে বন্যা। সব মিলিয়েই এর প্রভাব এসে পড়ছে জীবন নির্ধারনের হাতিয়ার ও বেচেঁ থাকার
ভরসা কৃষক কুলেরই উপরে। একইভাবে তা ঘুরিয়ে আসছে গড়ে উঠা গ্রামীণ জনপথের ছোট, বড় সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্টানে। কারণ এখানে কৃষি ও ব্যবসা পরশ পরা আত্মার বন্ধন। কৃষি ভাল তো ব্যবসা ভাল। কিন্তু কৃষির নাজুক অবস্থার দরুন যেমন ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষি নির্ভর পরিবার গুলো তেমনি ক্ষতির শিকার কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো। আর একারনেই ব্যবসার দরোবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় তারা বাধ্য হয়েই বন্ধ করছেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান। বিকল্প কোন ব্যবস্থা বা কর্ম না থাকায় ঐ পরিবার গুলো লাজ লজ্জায় কাইকে কিছু বুঝতে নাদিয়ে ভিটে মাটি, ঘটিবাটি বিক্রি করে ও বিভিন্ন দাদন ব্যবসায়ীসহ এনজিও থেকে চরা সুদে টাকা নিয়ে দিনানিপাত করছেন। সচেতন মহল অভিমত ব্যক্ত করে বলছেন এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রয়োজন এলাকায় নানা মুখি কর্মসংস্থানসহ শিল্প কারখানা গড়ে তোলা।