বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
‘আমরা আশা করেছিলাম একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কাল (বুধবার) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমাদানের মধ্যে দিয়ে তা স্পষ্ট হয়েছে’, বলেন সিইসি।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ২৮ নভেম্বর সারাদেশে ৩০০ আসনে ৩০৫৬ জনের মনোনয়ন ফরম দাখিল হয়েছে। যা রেকর্ড সংখ্যক। এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে স্বর্তঃস্ফূর্ত জাগরণ, এবং নির্বাচনে অংশ নেয়ার যে প্রত্যয় তারই প্রতিফলন হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩০৫৬ জনের মনোনয়ন দাখিলের মধ্য দিয়ে জনগণ ও ভোটারদের প্রত্যাশার জায়গায় উপনীত হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে আমাদের নির্বাচন পরিচালনা প্রক্রিয়া আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
কেএম নুরুল হুদা বলেন, প্রভাবশালী, প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী সকলেই সুশৃঙ্খলভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। কেউ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে ৫/৭ জনের বেশি লোকজন নিয়ে আসেননি। তবে বাইরে অনেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে এসেছিলেন। তা আসলে শোডাউনের পর্যায়ে পড়ে না।
তিনি বলেন, আমরা সার্বিকভাবে বিশ্বাস করতে চাই, যারা রাজনীতি করেন, যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা নির্বাচনী আইন, আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাবেন। সে ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন আপনারা। সেখানে আপনারা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বার্তা নিয়ে যাবেন। আমাদের নির্বাচনের কার্যক্রম যেভাবে পরিচালিত হয় তা আপনারা জানেন। কারণ ইতিপূর্বে কোনো না কোনো পর্যায়ে আপনারা নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করেছেন। সুতরাং নির্বাচন কিভাবে করতে হয়, কিভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হয় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে আপনারা তা ভালভাবে জানেন। আপনারা গিয়ে আবার প্রশিক্ষণ দেবেন ৭ লাখ পোলিং এজেন্টকে, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের। সবাইকে আপনারা উদ্বুদ্ধ করবেন। নির্বাচনের গুরুত্ব কি, নির্বাচনে নিরপেক্ষতা কিভাবে বজায় রাখতে হবে, সকলের প্রতি সমান সুযোগ, সমান আচরণ, সমদৃষ্টিভঙ্গি, প্রত্যেকটা প্রার্থীর অভিযোগ সমানভাবে পক্ষপাতহীণ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের প্রশিক্ষণই আপনারা দেবেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দায়িত্বে যারা নিযুক্ত থাকবেন তাদের সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারি ও প্রিজাইডিং অফিসারগণ। প্রকৃতপক্ষে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্তদের কাছাকাছি আপনারা প্রশিক্ষকরা যাচ্ছেন। সুতরাং আপনাদের ভূমিকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন। দিনব্যাপী কর্মশালায় ৪ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন।(ইউএনবি)