সোমবার, ০১ মার্চ ২০২১, ০৩:১৮ অপরাহ্ন
বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঈদে ঘরমুখো লঞ্চযাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও ভোগান্তি লাঘবে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
যাত্রীসেবায় সরকারি-বেসরকারি ৩৬টি অত্যাধুনিক ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করবে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে। এরই মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সরকারি লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস। শনিবার থেকে শুরু হবে বেসরকারি লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস।যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, থানা, নৌ-পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা নৌ-বন্দর এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। লঞ্চগুলোতে পর্যাপ্ত জীবন রক্ষাকারী বয়া আছে কি না তা নিশ্চিত করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধ, ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন করে ১৪ দিন নদীতে বাল্কহেডসহ ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা, নদীতে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর টহল নিশ্চিত করা, মেরিন ক্যাডেট, স্কাউট, গার্লস গাইডের সদস্যরা যাত্রীদের লঞ্চে ওঠা-নামসহ সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
এছাড়া বরিশাল-ঢাকা নৌপথে ঈদের সময় জেলেরা যাতে জাল ফেলে প্রতিন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবারহ, যাত্রীদের সচেতন করতে মাইকে প্রচারণা চালানো, জরুরি চিকিৎসাসেবা ও গভীর রাতে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের বন্দর ভবনের বিশ্রামাগারে নিরাপত্তা দেয়া, অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে অস্থায়ী যাত্রী ছাউনি স্থাপন করাসহ সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিসি বরিশাল অফিস থেকে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল-খুলনা রুটে ১৩ দিনের বিশেষ ঈদ সার্ভিস বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ঢাকা থেকে শুরু হয়েছে। মোট ৬টি জাহাজ দিয়ে আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত এ সার্ভিস চলবে।