অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর :
নোয়াখালীর সদর উপজেলার ২০নং মাইজচরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আন্ডারচরের জলেখার বাপের বাড়ীর মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেনকে(২৪) একই ওয়ার্ডের গোপরান চকিদারের বাড়ীর মৃত গোপরান চকিদারের ছেলে গ্রাম পুলিশ বেল্লাল ও তার সঙ্গীয়বাহিনী নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে -একই এলাকার খাজুরতলা নামক স্থানে মারপিটের শিকার আহত ফারুকের ছোটভাই নূর হোসেন (২০)চায়ের দোকান করে আসছিলো।পাশাপাশি আরো দুইটি চায়ের দোকান থাকায় প্রতিদিন সন্ধার পরে শ্রমজীবী মানুষেরা একটুখানি সময় পাস করতে জমায়েত হয়। তৎসময়ে কেউ কেউ বিনোদন হিসেবে তাস কিবা ক্যারাম খেলে আনন্দ পায়।স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বেল্লাল এ থেকে প্রতিদিন দুই থেকে তিনশত টাকা করে মাসোয়ারা নেয় বলে স্থানীয়রা জানান।ঘটনার দুইদিন আগে বেল্লাল এসে প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে চাঁদা দাবী করেন। এতে খেলোয়াররা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বেল্লাল ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আবুল হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আবদুল হক, ৬নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আবদুর রহিমকে সাথে নিয়ে এসে ১১আগস্ট শনিবার সন্ধায় আকস্মিক খাজুরতলায় পাকড়াও করে শুধু ফারুক হোসেনকে মারধোর করে।ফারুককে পাকা দোকানের ভেতরে ঢুকিয়ে তিনজন গ্রাম পুলিশ এসএস ফাইভ দিয়ে বেদড়ক পিটাতে থাকে আর বেল্লাল দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে বার বার ফারুক চিৎকার দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বুকে লাথি মেরে ভেতরের দিকে পাঠায়।এতে ফারুকের দুপায়ের হাঁটুর নিচের হাঁড় ও মাথায় মারাক্তক জখম হয়।চিৎকার শুনে ফারুকের বৃদ্ধ মমা ছায়েরা বেগম (৬৫) এগিয়ে এলে পাষন্ড বেল্লাল তাকেও লাথি মেরে তাড়িয়ে দেয়। এসময় ফারুকের কাছে থাকা (সদ্য ব্রীকফিল্ডের মাঝি সেলিমের কাছ থেকে আনা)নগদ ৩৫ হাজার টাকার বান্ডেল,বুক পকেটে ১হাজার টাকার ২টা নোট ও খুচরো কিছু টাকা এবং স্যামস্যাং গ্লাক্সী মোবাইল বেল্লাল ছিনিয়ে নেয়। ফারুক অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মৃত ভেবে চকিরতলায় লুকিয়ে রেখে বেল্লাল তার দলবল নিয়ে চলে যায়।পরে এলাকাবাসী ফারুককে উদ্ধার করে কমলনগর হাসপাতাল(যার রেজিনং-৩৯৬২/২,তাং-১১/০৮/১৮) পরে অবস্থার অবনতি দেখে ডাক্তার ফারুককে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে রেপার করে।বর্তমানে ফারুক নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরন প্রকাশ হোরন মেম্বার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন -গ্রাম পুলিশ বেল্লাল যা করেছে সম্পূর্ণ অন্যায় করেছে।সে তাস খেললে খেলোয়ার সবাইকে ধরে পরিষদে নিয়ে যেতো,তাছাড়া মারধোর করার ক্ষমতা তো তার নাই, সে কেনো করলো!এটা সে করতে পারে না। চাঁদা চেয়ে না পেয়ে একটা নিরীহ ছেলেকে এভাবে মারধোর করা তার ঠিক হয়নি। স্থানীয় আবু মেম্বারের বাড়ীর মোঃ হেদায়েত উল্লাহ, ধনুর বাপের বাড়ীর দুলাল হোসেন,ধনুর বাড়ীর সাফিউল্লাহ ধনু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন -ফারুকেরা জীবনে কারো একটা কাঁচা মরিচও ধরেনি। বেল্লাল চাঁদা না পেয়ে তাকে এমন ভাবে মেরেছে আরো টাকা পয়সা সব লুট করে নিয়ে গেছে।
বেল্লাল ফারুককে মারধোর করে ক্ষান্ত হয়নি সে বাসু মাঝি,সেলিম মাঝি ও নূর হোসেনকে প্রাণে মেরে ফেলার প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে বলে তারা জানান।সে এলাকায় সন্ত্রাসী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য তার আপন ভাই ইউসুফ কে কাজে লাগায় বলে স্থানীয়রা জানান। ইউসুফ বিএনপি সরকারের আমলে সৃষ্ট ক্যাডার এখন আওয়ামীলীগ ব্যবহৃত আতংকময় সন্ত্রাস।জানা গেছে ইউসুফ র্যাব ও ডিবি পুলিশের সাথেও কয়েকবার গোলাগুলি করছে।তার দাপট নিয়েই বেল্লাল এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী সৃষ্টি করে চাঁদা তোলে ও যাকে তাকে মারধোর করে। সে স্থানীয়,চেয়ারম্যান, মেম্বারদের পরওয়া করে না। তার ভয়ে সাধারন জনগণ তটস্থ থাকে বলে খাজুর তলার গণমানুষ জানান।তারা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এনিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ফারুকের ছোটভাই নূর হোসেন জানান।